Header Ads

Header ADS

কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি জরুরী

 কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি জরুরী

 "যারা চাকরি করছেন তারা তো জেনেশুনেই কম বেতনের চাকরিতে ঢুকছেন। না পোষালে চাকুরী ছেড়ে দিন।" এই মন্তব্যটা অনেকেই করে । 

তাদের উদ্দেশ্যেই বলব, চাকরি সরকারি হোক বা বেসরকারি, একটা ভালো স্যালারির চাকরি জোগাড় করা যে কি কঠিন তা চাকুরী প্রার্থী মাত্র‌ই জানার কথা। অত‌এব চাকরি ছেড়ে দিতে যারা বলছেন তারা হিংসা বশত বলেছেন এটা নিশ্চিত। ও, চাকরি ছাড়লে তো আমি ঢুকতে পারি!! মনে মনে এই চিন্তা করে অনেকেই এমনটা বলছেন।

সারাবছর চাকরির পদ সংখ্যা কম থাকে বলে যেকোন পদেই প্রচুর আবেদন পড়ে। অনেকেই বয়সের কথা ভেবে এবং পারিবারিক চাপে ১২-২০ তম গ্রেডে চাকুরী নেয়। অনেকেই ভাবেন, একটা চাকরি হোক প্রস্তুতি নিতে থাকি Better অপশন হলে চলে যাব। কিন্তু বেশিরভাগ চাকুরীজীবীদের Better অপশন আর আসে না।



মোটকথা দেশে পদ কম থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা কম বেতনে চাকরি নেয়।

আসলে কোন পদ‌ই খালি থাকে না। কেউ না কেউ ঠিকই চাকরি করবে। তাই বলে যে টাকায় সংসার চলবে না সেই পরিমাণ টাকা বেতন দিবেন আর বলবেন চাকরিতে না পোষালে চলে যান, এটা অমানবিক। আপনি নিজে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে তখন কি করতেন?

যে কোন চাকরিতে কর্মচারীদের বেতন বাড়ালে আপনার খুশি হ‌ওয়া উচিত। কারণ আপনি একজন চাকুরী প্রার্থী। ভবিষ্যতে পদগুলোতে সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা বাড়লে যখন আপনি চাকরি পাবেন তখন আর বর্তমান কর্মচারীদের মত কষ্ট করতে হবে না।

যে কর্মচারীর সংসার চালানো দায় তার কাছ থেকে ভালো সেবা, ভালো ব্যবহার কখনো আশা করা যায় না। ২০-তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর বেতন ১৫৬৫০ টাকা১৬ তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর বেতন ১৬৬৫০ টাকা। প্রতি বছর মাত্র ৫% অর্থাৎ ৫০০-৭০০ টাকা করে বাড়ে।

এই টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে কেমনে চলবে। অনেকে আবার শহরে ঘর ভাড়া দিয়ে থাকেন।এর চেয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকের বেতন বেশি।

আপনি বলবেন গার্মেন্টসে চাকরি করতে। অনার্স- মাস্টার্স করে অল্প শিক্ষিত লোকদের সাথে চাকুরি করা অনেকের আত্মসম্মানেই লাগে। তার সহকর্মীরা‌ই বলে, এত লেখাপড়া করে কি করলেন আমার সাথে চাকুরি করছেন?

তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে কর্মচারীদের কষ্ট লাঘবে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।

No comments

Powered by Blogger.