Header Ads

Header ADS

যে রোগের জন্য যে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন


কোন রোগ হলে কোন ডাক্তার দেখাবেন

তা অনেকেই বোঝেন না, তাহলে আসুন জেনে নিন

ক্র.

নং

রোগের বিবরণ

যে ডাক্তার দেখাবেন

মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো, ভার ভার লাগা, ঝিমানি আসা, ভারসাম্য না রাখতে পারা,ব্রেইনের কোন সমস্যা,কোন বড় দূর্ঘটনা বা আঘাত পাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কান বা মাথার কাছ থেকে রক্ত পড়া, চোখে বা কানের কাছে কালশিটে দাগ, অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন যারা খুব বেশি পরিমাণে ভুলে যান। কোন কথাই ভালো করে মনে থাকে না। এটা আলজেইমারস রোগের লক্ষণ। বয়সের দোষ না ভেবে ডাক্তারকে বলুন। মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের রোগ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র), পেরিফেরাল স্নায়ু (ফুসফুসের বা লিভারের মতো অঙ্গ, মস্তিষ্কের সাথে মেরুদণ্ড এবং মেরুদণ্ড সংযোগকারী স্নায়ু) এবং পেশীগুলিতে রোগের চিকিৎসা করেন। স্নায়বিক রোগের মাঝে রয়েছে, মাথা ব্যাথা, মৃগীরোগ, স্ট্রোক, মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার, যেমন কম্পন বা পার্কিনসন রোগ ইত্যাদি হলে একজন নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

 

 

নিউরোলজিস্ট/

নিউরো-মেডিসিন

(Neurologists)

 

 

নাক,কান ও গলায় যে কোন ধরনের সমস্যায়, ঠাণ্ডার সাথে কাশি, জ্বর থাকলে, পাশাপাশি মাথা ব্যথা হলে।

নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ

(ENT. Specialist) 

ঘন ঘন প্রস্রাব, খুব বেশি খিদে লাগা, ওজন খুব কমে যাওয়া ও ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ। যে কোন বয়সেই হতে পারে। ভাবার কোন কারণ নেই যে এটি শুধু বয়স্কদের হ ঘন ঘন প্রস্রাব, অসম্পূর্ণ ত্যাগের অনুভূতি, ব্যথা হওয়া, পিঠের নীচের দিকে দুই পাশে ব্যথা, কোমরের দুই পাশে ব্যথা হলে সিরিয়াসলি নিন। বয়স্ক মানুষদের মধ্যে কিডনি নষ্টের প্রকোপ বেশি। সারা শরীরে অ্যালার্জি ছাড়াই চুলকানি, বমি হওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা, রক্তের মত লাল প্রস্রাব হওয়া অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিয়ে একজন নেফ্রলজিস্ট এর শরণাপন্ন হতে হবে।

 

 নেফ্রলজিস্ট এবং ইউরোলজিস্ট

(Nephrologist and Urologist) 

একজন নারীর জীবনে অনেক সময়েই এই বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১৬ বছরের পর কোন মেয়ের পিরিয়ড না হলে, হালকা ভাবে নেয়ার কোন কারণ নেই। এর জন্যে অনেক কারণ দায়ী। সঠিক কারণ জানতে হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই হবে। ঘন ঘন পিরিয়ড হওয়া, অতিরিক্ত রক্তপাত, মাসিক কালীন হোক বা মাসিক ছাড়াই হোক, পিরিয়ডের সময় ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক, হতেই পারে এরকম না ভেবে পরামর্শ নিন। এসব সমস্যার জন্যে আপনার সন্তান হতেও সমস্যা হতে পারে। একটু সচেতন হয়ে আগে আগেই প্রতিকার করে নেয়া ভালো নয় কি? গর্ভকালীন সময়ে ১৩ টি ভিজিট করতে হবে, নুন্যতম ৪ টি করতেই হবে। আপনার সন্তানের সুস্থতা, আপনার শারীরিক অবস্থা, প্রসবে কোন জটিলতা হতে পারে কিনা জানতে হলে আগেই চেক আপ করাতে হবে। নিকটতম স্বাস্থ্য ক্লিনিকেই দেখাতে পারেন, বিশেষজ্ঞের কাছেই ১৩ বার যেতে হবে এমন কোন কথা নেই। আর কোন ভালো ডাক্তার যদি বলেন যে সিজার করাতে হবে, তবে বোঝার চেষ্টা করুন নিশ্চয়ই আপনার বাচ্চা, আপনার শরীরের কোন জটিলতা আছে বলেই করতে বলছেন। প্রসবে বেশি জটিলতা যেমন, দীর্ঘ প্রসব, আটকে যাওয়া প্রসব হলে বাচ্চা মারাও যেতে পারে। ভবিষ্যতে আপনার প্রস্রাব নালির সাথে যোনি পথের ফিস্টুলা, জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া, জরায়ু ছিড়ে যাওয়া এরকম আরও অনেক সমস্যা হতে পারে।

 

 

 গাইনিকলজিস্ট ও অবস্টেট্রিশিয়ান

(Gynecologist)

 

 

 

 

 

বাংলায় হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ বলে। এতে বিশেষ কিছু বলার নেই। দূর্ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন জায়গার হাড় ও জয়েন্টে সমস্যা হলেই আমরা এই ডাক্তার দেখাই। আক্রান্ত স্থানে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, নাড়াতে কষ্ট হওয়া এবং স্বাভাবিক কাজ করতে কষ্ট হলে ডাক্তার দেখাতেই হবে। মাথায় আঘাত লাগলে একজন নিউরলজিস্ট কেও দেখাতে হবে। বুকের হাড় ভেঙ্গে হার্ট, লাংস এ ঢুকতে পারে বা চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বা রক্তপাত হয়েও চাপ দিতে পারে। তাই ভেঙ্গে গেলে শুধু হাড় ও জোড়ার ডাক্তার নয়, পাশাপাশি অন্য বিশেষজ্ঞ কেও দেখাতে হবে।হাড়, জয়েন্ট, লিগামেন্ট, টেন্ডনের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। কিছু অর্থোপেডিক সবরকমের অঙ্গের চিকিৎসা করে এবং বাকিরা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গের বিশেষজ্ঞ যেমন, কোমর, হাঁটু, পা এবং গোড়ালি।

 

 

অর্থপেডিক্স

(Orthopaedics)

শিশুর জন্মের পর দেখুন তার কোন জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা। আপনি ভাবতে পারেন বড় হলে অপারেশন করার কথা। কিন্তু অনেক রোগই বয়সের সাথে বাড়ে বা বয়স বেড়ে গেলে চিকিৎসা করতে ঝামেলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিউমোনিয়াকে শিশু মৃত্যুর এক নম্বর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ডায়রিয়া , মিজলস , জন্মগত ত্রুটিও লক্ষণীয়। যদি আপনার বাচ্চার খেতে কষ্ট হয়, সারাক্ষণ অস্থির হয়ে থাকে, যা খায় তার সব-ই বমি করে, কাশি থাকে, ঘন ঘন শ্বাস নেয়, বুকের নীচের অংশ শ্বাসের সময় দেবে যায়, অজ্ঞান হয়ে যায়, তবে এখুনি ডাক্তার দেখান। শিশুদের সঠিক সময়ে সঠিক বেড়ে ওঠা হচ্ছে কিনা তার জন্যে ডায়েট প্ল্যান মোতাবেক খাওয়ান।

 

 

পেডিয়াট্রিক/ শিশু ডাক্তার

(Paediatrics)

 একজন রিউম্যাটোলজিস্ট বাতগ্রস্থ রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। বাতগ্রস্থ রোগের মাঝে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ১০০ ধরনের চেয়েও বেশী অসুখ যার দ্বারা জয়েন্ট, হাড়, পেশী, লিগামেন্ট এবং টেন্ডন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এমন রোগ থেকে ভুগছেন যা আপনার জয়েন্টগুলোতে, হাড়, লিগামেন্টস, পেশী বা কোষগুলিকে প্রভাবিত করে কিংবা আপনি যদি হঠাৎ করেই এসব জায়গায় তীব্র ব্যাথা কিংবা জ্বালাপোড়া অনুভব করেন রিউম্যাটোলজিস্টের কাছে যেতে পারেন।

 

রিউম্যাটোলজিস্ট

     (Rheumatologists)

 

 

আপনার সন্তানের বয়স ১২ হতে ১৬ বছর কিন্তু বয়স অনুযায়ী দেহের বৃদ্ধি ঠিকমত না হলে এন্ডোক্রিনোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস কিংবা হরমোনাল কোনো সমস্যা কিংবা থায়রয়েডের কোনো অসুখে ভুগছেন, তাহলে আপনি বিনা সঙ্কচে এন্ডোক্রিনিনোলজিস্ট দেখাতে পারেন।

 

এন্ডোক্রিনোলজিস্ট

(Endocrinologist) 

ত্বকে যে কোন ধরনের ঘা হলে,  অস্বাভাবিক পরিমাণে ব্রণ উঠলে, ত্বকে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে এবং আপনার মাঝে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকলে দ্রুতই ডাক্তার দেখিয়ে নিন।অনেকদিন ধরে ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হলে তা এক্সিমার লক্ষণ। আপনার ত্বক ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকলে তার চিকিৎসাও এই ডাক্তার করবেন। ত্বকে কোনোরকম দাগ থাকলে তার চিকিৎসাও এখানে হবে।

 

ডার্মাটোলজিস্ট

(Dermatologist)

১০

অনকোনজিস্ট হচ্ছে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। প্রত্যেক অঙ্গের ক্যান্সারের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা অনকোলজিস্ট।    


 অনকোলজিস্ট (Oncologist)

১১

তীব্র বুকে ব্যথা,পরিবারে আগে কারো হৃদরোগ হয়ে থাকলে,কলেস্ট্রোরেলের মাত্রা ২০০এমজি/ডিএল বা এর বেশি হলে,উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিক হলে,প্রিএক্লেম্পশিয়া হলে,৪০ বছর বয়স পার করার পরে নতুন করে কোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে,মাড়িতে অতিরিক্ত ব্যথা হলে কারণ তা অনেক সময় হৃদরোগের কারণে হয়ে থাকে। বুকের ব্যথা বা অস্বস্তি যা কাঁধ, ঘাড়, অস্ত্র, বা চোয়াল মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্রামের পরেও তা কমে না। ঘাম, ঠান্ডা, চামড়া ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া,নিঃশ্বাসের দুর্বলতা,বমি ভাব বা বমি হওয়া, অস্পষ্ট দুর্বলতা বা ক্লান্তি,চোয়াল, ঘাড়, পিঠের উপরের দিক বা বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা,উদ্বেগ

 

 

কার্ডিওলজিস্ট

(Cardiologist)

 

No comments

Powered by Blogger.