Header Ads

Header ADS

বিজ্ঞানী ম্যারী কুরী (Marie Curie)



বিজ্ঞানী ম্যারী কুরী (Marie Curie)

 ১৯১১ সালে রসায়নে এবং ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। নোবেল পুরস্কার পান। ১৮৬৭ সালে পোল্যান্ডে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি রেডিয়াম ও পোলেনিয়াম নামক তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবিষ্কার করেন। রেডিয়াম নিষ্কাশনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ম্যারী স্কলোডস্কি পোল্যান্ডে একটি শিক্ষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষার উপর জোরালো বিশ্বাস ছিল। তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্যারিসে গমন করেন। সেখানে পিয়ারি কুরীর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়।পরবর্তী সময়ে তিনি তার স্বামী ও সহকর্মী হিসেবে তেজস্ক্রিয়তা গবেষণার ক্ষেত্রে অবদান রাখে।এই দম্পতি ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯০৬ সালে ম্যারী তার স্বামীকে হারান। তবুও তিনি তার গবেষণার কাজ চালাতে থাকেন। এর ফলে তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দুইবার নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে, কুরী একটি মোবাইল এক্সরে টিম গঠন করে। কুরী দম্পতির মেয়ে আইরিন তার স্বামী ফেড্রিক জোলিয়টের সাথে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে হেনরি বেকরেল এর তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার ম্যারী ও পিয়ারি কুরী দম্পতিকে অনুপ্রাণিত করে। তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে তারা আরও গবেষণা করতে থাকেন। তারা বিভিন্ন যৌগ পরীক্ষা করেন এবং এসব খনিজ পদার্থে তেজস্ক্রিয়তা লক্ষ্য করেন। খনিজ পিচের মধ্যে ইউরেনিয়াম এর চেয়েও বেশি তেজস্ক্রিয় পদার্থের সন্ধান পান। পরে তারা রেডিয়াম ও পলেনিয়াম নিষ্কাশন করতে সক্ষম হন।এই দুটি পদার্থ ইউরেনিয়াম এর চেয়েও বেশি তেজস্ক্রিয়। এর ফলে তিনি ১৯০৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই দুটি পদার্থ আবিষ্কার করার পর‌ও তিনি তার গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯১০ সালে তিনি সফলভাবে বিশুদ্ধ রেডিয়াম ধাতব পদার্থ উৎপাদন করেন। তেজস্ক্রিয়তার উপর তার গবেষণা পরবর্তীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে টিউমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তিনি ১৯১১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

No comments

Powered by Blogger.