ভাইবা প্রস্তুতি পার্ট-১
👮 আপনার নামে একজন শিল্পি আছে, তাকে চিনেন ?
জ্বী, স্যার কন্ঠশিল্পী, মো: আব্দুল জব্বার ।মৃত্যুবরণ করেন ৩০ আগস্ট, ২০১৭ ।
👮 তার কয়েকটা গানের নাম বলুন ?
- তার গাওয়া তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়, সালাম সালাম হাজার সালাম ও জয় বাংলা বাংলার জয় গান তিনটি ২০০৬ সালে মার্চ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান করে নেয়। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (১৯৯৬) ভূষিত হন।
১। গানের নাম: তুমি কি দেখেছ কভু.........
গীতিকার: ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
সুরকার: সত্য সাহা।
২। গানের নাম: সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
কন্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
*গীতিকার: ফজল-এ-খোদা
*সুরকার: আব্দুল জব্বার
৩। জয় বাংলা বাংলার জয়
গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুরকার: আনোয়ার পারভেজ
👮 জয় বাংলা এখণ জাতীয় স্লোগান, এটি কবে এ ব্যাপারে রায় দেয়া হয় ?
=> ২০২০ সালের ১০ মার্চ
👮 মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের নাম বলুন ?
সেক্টর |
বিস্তৃতি |
কমান্ডার |
০১ |
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী নদী পর্যন্ত |
মেজর জিয়াউর রহমান |
ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম |
||
০২ |
নোয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার (কুনো) আখাউড়া - ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ |
মেজর খালেদ মোশাররফ |
মেজর এ.টি.এম. হায়দার |
||
০৩ |
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব
রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ |
মেজর কে এম শফিউল্লাহ |
মেজর এ.এন.এম. নূরুজ্জামান |
||
০৪ |
সিলেট জেলার
পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি
সড়ক পর্যন্ত |
মেজর চিত্ত রঞ্জন দত্ত |
০৫ |
সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল |
মেজর মীর শওকত আলী |
০৬ |
সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা |
উইং কমান্ডার মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার |
০৭ |
দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা |
মেজর নাজমুল হক *দুর্ঘটনায়
নিহত |
মেজর কাজী নূরুজ্জামান |
||
০৮ |
সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ |
মেজর আবু ওসমান চৌধুরী |
মেজর এম. এ. মঞ্জুর |
||
০৯ |
দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা |
মেজর আবু ওসমান চৌধুরী |
মেজর এম এ জলিল |
||
১০ |
কোনো আঞ্চলিক
সীমানা নেই। ৫১৫ জন নৌবাহিনীর কমান্ডো অধীনস্হ। |
- |
১১ |
কিশোরগঞ্জ
মহকুমা বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা এবং নগরবাড়ি-আরিচা থেকে ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ
পর্যন্ত যমুনা নদী ও তীর অঞ্চল |
মেজর জিয়াউর রহমান |
মেজর আবু তাহের |
||
স্কোয়াড্ৰণ
লিডাৱ এম হামিদুল্লাহ খান |
👮 মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে বলুন ?
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার (যা মুজিবনগর সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জনগনের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন।
এই মন্ত্রিপরিষদ এবং এমএনএ ও এমপিএগণ ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেন।
সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপ্রধান এবং বঙ্গন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীসমূহের অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী,
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী (অর্থ মন্ত্রণালয়),
খন্দকার মোশতাক আহমেদ (পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়) ও
এ এইচ এম কামরুজ্জামান(স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়) কে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য নিয়োগ করা হয়। ১১ এপ্রিল এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ বেতারে মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ঘোষণা দিয়ে ভাষণ প্রদান করেন।
👮 অ্যামিবার চলন বর্ণণা করুন ? অ্যামিবার ইমরটালিটি বলতে কি বুঝেন এবং সিস্ট কি ?
অ্যামিবা (Amoeba) : প্রোটিস্টা (Protista) রাজ্যের সদস্য অ্যামিবা এককোষী প্রাণী। এদের দেহ ক্ষুদ্রাকার। অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায় না। এরা প্রয়োজনে দেহের আকার পরিবর্তন করে থাকে। এদের দেহ থেকে আঙ্গুলের মতো তৈরি অভিক্ষেপকে ক্ষণপদ (Pseudo-pods) বলে। ইংরেজি ভাষায় Pseudo অর্থ False বা মিথ্যা । তাই Pseudo-pods এর আরেকটি নাম বলা যায় মিথ্যা পা। আর বাংলা ক্ষণপদের অর্থ ক্ষণিক বা অল্প সময়ের জন্য তৈরী পা। এর সাহায্যে অ্যামিবা খাদ্যগ্রহণ ও চলাচল করে। এদের দেহে পানিগহ্বর, খাদ্যগহ্বর ও সংকোচন গহ্বর থাকে। এদের সারাদেহ একটি পাতলা ও স্বচ্ছ পর্দা দ্বারা ঘেরা থাকে । একে প্লাজমালেমা বলা হয়। অ্যামিবা পানিতে, স্যাতস্যাতে মাটিতে, পুকুরের তলার পচা জৈব আবর্জনার মধ্যে জন্মে।
অ্যামিবাকে কেন অমর প্রাণি বলা হয়?
অ্যামিবা দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করে। প্রথমে এদের দেহের নিউক্লিয়াস লম্বা হয়ে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায় এর পর এদের দেহের সাইটোপ্লাজম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য বা নতুন অ্যামিবার সৃষ্টি হয়। দেহের সমস্ত উপাদান দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি নতুন অ্যামিবায় পরিণত হয়। এভাবে একটি অ্যামিবা দুটো অ্যামিবায় পরিণত হয়। আর দুটি অ্যামিবা থেকে চারটি অ্যামিবায় পরিণত হয়। এই পদ্ধতির বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অযৌন জনন পদ্ধতি বলে। যেহেতু অ্যামিবা পরিণত বয়সে একটি দেহ দুটো দেহে পরিণত হয় এবং অ্যামিবাদের স্বাভাবিক কোন মৃত্যু হয় না এজন্য অ্যামিবাকে অমর প্রাণি বলা হয় । এ ঘটনাকে অ্যামিবার অমরত্ব ( Amoeba's Immortality) বলা হয়।
বেশিরভাগ প্রাণিই যেখানে বৃদ্ধ হয়ে মারা যায় এমিবা সেখানে ব্যতিক্রম । এরা বৃদ্ধ হয় না । এরা স্বাভাবিকভাবে মারা যায় না। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু না হলেও অ্যামিবা খাদ্যের অভাবে, প্রতিকূল পরিবেশে কিংবা অধিক তাপমাত্রায় মারা যায়।
এন্টামিবা: এন্টামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যভুক্ত আরেক ধরনের এককোষী জীব ।
সিস্ট: এরাও এমিবার মত আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। এদের দেহ স্বচ্ছ জেলীর ন্যায় । তবে কখনো কখনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা গোলাকার শক্ত আবরণে নিজেদের দেহ ঢেকে ফেলে। এ অবস্থায় একে সিস্ট বলে।
আমাশয় রোগ সাধারণত দুই ধরনের, যথা- এমিবিক ও ব্যাসিলারি।ব্যাসিলাস আমাশয়ের কারণ এক ধরনের ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া।
এন্টিমিবা নামক এক ধরনের এককোষী প্রাণীর আক্রমণে এমিবিক আমাশয় হয়ে থাকে।
এরা পরজীবী হিসেবে মানুষ, বানর জাতীয় প্রাণী, বিড়াল, কুকুর, শূকর ও ইদুরের বৃহদন্ত্রে বাস করে।
এন্টামিবা কোষ বিভাজন ও অনুবীজ সৃষ্টির মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে।
স্পোরুলেশন পদ্ধতিতে একটি কোষের প্রোটোপ্লাজম বহুখন্ডে বিভক্ত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণূবীজ বা স্পোর গঠন করে। অনুকুল পরিবেশে এরা প্রত্যেকে একটি অ্যামিবা হিসেবে বড় হয়্। এন্টামিবা এক ধরনের আমাশয় রোগের জন্য দায়ী।
👮 ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক কি ?
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া
ভাইরাস: ইলেকট্রন অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া ভাইরাসদেরকে দেখা যায় না । এরা সরলতম জীব। ভাইরাসের দেহে কোষপ্রাচীর, প্লাজমালেমা, সুগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছেই নেই। তাই ভাইরাসের দেহকে অকোষীয় বলা হয়।
এরা শুধুমাত্র প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড ( ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত।
এদের আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক এসিড বের হয়ে গেলে এরা জীবনের সকল লক্ষণ হারিয়ে ফেলে। তবে অন্য জীবদেহে যেইমাত্র প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিডকে একত্র করা হয়, তখনি এরা জীবনের সব লক্ষণ ফিরে পায়। অর্থাৎ জীবিত জীবদেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাইরে এরা জীবনের কোন লক্ষণ দেখায় না।এ কারণে ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী।
ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস: ভাইরাসের মধ্যে ব্যাকটেরিওফাজ একটি পরিচিত ভাইরাস।
ভাইরাস গোলাকার, দন্ডাকার, ব্যাঙ্গাচি ও পাউরুটির ন্যায় হতে পারে । ভাইরাস মানবদেহে বসন্ত, হাম, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করে। ধানের টুংরো ও তামাকের মোজাইক রোগ ভাইরাসের কারণে হয়।
ব্যাকটেরিয়া: ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অনুবীক্ষণিক জীব।
বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্ব প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার,দন্ডাকার, কমা আকার, প্যাচানো ইত্যাদি নানা ধরনের হতে পারে।
কক্কাস: গোলাকার আকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে কক্কাস ব্যাকটেরিয়া বলে। যেমন : নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া।
ব্যাসিলাস : এরা দন্ডের ন্যায় ব্যাকটেরিয়া। ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় ইত্যাদি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া্।
কমা: কলেরা রোগ সৃষ্টিকারী কমা ব্যাকটেরিয়া।
স্পাইরিলাম: প্যাচানো আকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে স্পাইরিলাম ব্যাকটেরিয়া বলে।
ছত্রাক: ছত্রাক সমাঙ্গদেহী ক্লোরোফিলবিহীন অসবুজ উদ্ভিদ। এরা পরভোজী অথবা মৃতভোজী।
পরভোজী ছত্রাক বাসি ও পচা খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল, শাকসবজি, ভেঁজা রুটি বা চমড়া, গোবর ইত্যাদিতে জন্মায়। মৃতভোজী ছত্রাক মৃত জীবদেহ বা জৈব পদার্থ পূর্ণ মাটিতে জন্মায়।
অ্যামিবা: প্রোটিস্টা রাজ্যের সদস্য অ্যামিবা এককোষী প্রাণী। এদের দেহ ক্ষুদ্রাকার। অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায় না। এরা প্রয়োজনে দেহের আকার পরিবর্তন করে থাকে। এদের দেহ থেকে আঙ্গুলের মতো তৈরি অভিক্ষেপকে ক্ষণপদ বলে। এর সাহায্যে অ্যামিবা খাদ্যগ্রহণ ও চলাচল করে।এদের দেহে পানিগহ্বর, খাদ্যগহ্বর ও সংকোচন গহ্বর থাকে। এদের সারাদেহ একটি পাতলা ও স্বচ্ছ পর্দা দ্বারা ঘেরা থাকে । একে প্লাজমালেমা বলা হয়। অ্যামিবা পানিতে, স্যাতস্যাতে মাটিতে, পুকুরের তলার পচা জৈব আবর্জনার মধ্যে জন্মে।
No comments