DNA এর রাসায়নিক গঠন
DNA এর রাসায়নিক গঠন
DNA এর পূ্র্ণরুপ Deoxyribonucleic Acid । এটি হলো একটি পলিমার।
DNA এর গাঠনিক একক হলো নিওক্লিওটাইড। প্রতিটি নিওক্লিওটাইড তিনটি অংশে বিভক্ত।
যথা:
১) নাইট্রোজেন বেস বা নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষার ।
২) পেন্টোজ সুগার ।
৩) ফসফোরিক এসিড।
১) নাইট্রোজেন বেস বা নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষার : নাইট্রোজেন বেস দুই ধরনের ।
যথা: ক) পিউরিন খ) পাইরিমিডিন।
ক) পিউরিন (Purine) : পিউরিন অ্যাডেনিন (A) ও গুয়ানিন (G) নিয়ে গঠিত। পিউরিন বেসে দুটি করে ষড়ভুজাকার গঠন থাকে ।
পিউরিনের বৈশিষ্ট্য:
*পিউরিনের গঠন অপেক্ষাকৃত বড়।
* পিউরিনের গঠনে দুটি চক্র আছে।
* পিউরিন ৯ টি চাক্রিক অনু নিয়ে গঠিত।
* ১,৩,৭,৯ এই চারটি জায়গায় নাইট্রোজেন থাকে। )
এডেনিন = 6- অ্যামাইনো পিউরিন ।
গুয়ানিন = 2- অ্যামাইনো 6- অক্সি পিউরিন ।
অ্যাডেনিন (A) ও গুয়ানিন (G) দুই চাক্রিক যৌগ।
খ) পাইরিমিডিন : সাইটোসিন (C) ও থায়মিন (T) নিয়ে গঠিত। পিরিমিডিন বেসে একটি করে ষড়ভূজাকার গঠন থাকে।
পাইরিমিডিন : সাইটোসিন (2- অক্সি 4- অ্যামাইনো পাইরিমিডিন )
ও থাইমিন ( 2,4 - ডাইঅক্সি 5 মিথাইল পাইরিমিডিন )
( বুঝার জন্য: পাইরিমিডিনের বৈশিষ্ট্য:
*পাইরিমিডিনের গঠন অপেক্ষাকৃত ছোট।
* পাইরিমিডিনের গঠনে একটি চক্র আছে।
* পাইরিমিডিনের ৬ টি চাক্রিক অনু নিয়ে গঠিত।
* ১, ৩ এই দুটি জায়গায় নাইট্রোজেন থাকে। )
অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) দুটি হাইড্রোজেন বন্ড এবং গুয়ানিন (G) ও সাইটোসিন (C) তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থাকে।
২) পেন্টোজ সুগার: পাচ কার্বন বিশিষ্ট সুগার বা চিনিকে পেন্টোজ সুগার বলে। DNA -তে ডিঅক্সি রাইবোজ সুগার রয়েছে।
রাইবোজ শর্করা তে দুই নম্বর কার্বনের হাইড্রোক্সিল গ্রুপ থাকলেও ডিঅক্সিরাইবোজ গ্রুপে শুধু হাইড্রোজেন থাকে অর্থাৎ অক্সিজেন থাকে না। তাই ডিঅক্সি নামকরণ করা হয়েছে।
এই শর্করার অনুতে পাঁচটি কার্বন পরমাণু থাকে বলে একে পেন্টোজ শর্করা বলে।
পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ
স্যুগার (কার্বনের ২নং স্থানে অক্সিজেন অনুপস্থিত থাকায় একে ডিঅক্সি রাইবোজ সু্গার
বলা হয়)।
৩) ফসফোরিক এসিড: DNA -তে তিনটি একযোজী হাইড্রোক্সিল গ্রুপ ও একটি দ্বিযোজী অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে গঠিত হয়েছে। DNA-তে ফসফরিক এসিড ফসফেট গ্রুপ PO43- রূপে যুক্ত থাকে।
শুধু ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা
ও নাইট্রোজেন বেস মিলে তৈরি হয় নিউক্লিওসাইড। ডিঅক্সিরাইবো শর্করা, ফসফেট ও
নাইট্রোজেন বেস মিলে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড।
অর্থাৎ নিউক্লিওসাইড এর
সাথে ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড।
No comments