সাবান তৈরির কৌশল
সাবান তৈরিরে যেসব কাঁচামাল লাগবে
১.কস্টিক সোডা
২.পাম ওয়েল
৩.ডালডা অয়েল
৪.সোডিয়াম সিলিকেট
৫.পানি
সাবান প্রস্তুত প্রণালি
একটি পাত্রে ৭০০ গ্রাম পানিতে ৩৫০ গ্রাম কস্টিক সোডা মিশিয়ে ভালো করে গরম করে ১ দিন রেখে দিতে হবে। ১ কেজি পামওয়েল ও ৫০০ গ্রাম ডালডা ভালো করে মিশিয়ে গরম করে এতে কস্টিক সোডার দ্রবণ মেশাতে হবে। এ দ্রবণের মধ্যে তরল সোডিয়াম সিলিকেট মিশিয়ে বারবার নাড়তে হবে। মিশ্রণ ঘন হয়ে গেলে সাবানের আকৃতি বানানোর ছাঁচে টেলকম পাউডার সহ দুই দিন রেখে দিতে হবে। হয়ে গেল বল সাবান।
এভাবে সবান তৈরির কারখানও স্থাপন যায়।
ব্যবহৃত যৌগিক পদার্থসমূহের বিবরণ:
১.কস্টিক সোডা: সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি রাসায়নিক পদার্থ যা কস্টিক সোডা নামে বেশি পরিচিত। এটি একটি অজৈব যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত NaOH। এটি সাদা কঠিন পদার্থ। বাজারে এটি কঠিন এবং তরল দুই অবস্থাতেই পাওয়া যায়।সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের গাঢ় জলীয় দ্রবণকে সাধারণত কস্টিক সোডা লাই (Lye) বলে
সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড এবংহাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড (খাওয়ার লবণ) ও জল উৎপন্ন হয়ঃ
- কস্টিক সোডার ব্যবহার:
- কাগজশিল্পে, টেক্সটাইল, সাবান এবং ডিটারজেন্টস, পানীয় জল, নর্দমা পরিষ্কার ইত্যাদিতে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইডের বহুল ব্যবহার রয়েছে।
২.পাম ওয়েল
৩.ডালডা অয়েল
৪.সোডিয়াম সিলিকেট : সোডিয়াম সিলিকেট ব্যবহৃত হয় সাবান শক্ত করার কাজে ।
উৎপাদন প্রক্রিয়া: ধান হতে চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ পাওয়া যায়, যা তুষ নামে সর্বজন পরিচিত। ধানের তুষ পোড়ানোর পর যে ছাই পাওয়া যায় তাতে শতকরা ৭০-৮০ ভাগ সিলিকা থাকে। এই তুষ থেকে কষ্টিক ডাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে সোডিয়াম সিলিকেট তৈরি করে বাজারজাত করা সম্ভব, যা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা।
৫.পানি
No comments