Header Ads

Header ADS

অধ্যায়-১ঃ পদার্থ পরিচিতি

চলো রসায়ন বিজ্ঞান শিখি 

অধ্যায়-১ঃ পদার্থ পরিচিতি

 পদার্থের প্রকারভেদ 

পদার্থ দুই ধরনের।যথাঃ মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ। মৌলিক পদার্থগুলো একটিমাত্র পদার্থ দিয়ে তৈরি।আর যৌগিক পদার্থ একাধিক পদার্থ দিয়ে তৈরী।

মৌলিক পদার্থ

 যে সকল পদার্থ ভাগ করলে শুধু ঐ পদার্থ‌ই পা‌ওয়া যায় তাকে মৌলিক পদার্থ বলে।যেমন সোনাকে ভাগ করলে শুধু সোনা পাওয়া যায়।লোহাকে ভাগ করলে শুধু লোহা পাওয়া যায়। সোনা,লোহা এগুলো মৌলিক পদার্থ।

 যৌগিক পদার্থ

 যেসব পদার্থ একাধিক মৌলিক পদার্থ নিয়ে গঠিত তারা যৌগিক পদার্থ। আবার কিছু পদার্থ মৌলিক পদার্থ মনে হলেও আসলে এরা যৌগিক পদার্থ।

যেমন বাতাস একটি যৌগিক পদার্থ।কারণ বাতাসে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ,কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রভৃতি গ্যাস থাকে। পানি একটি যৌগিক পদার্থ। কারণ পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস দিয়ে তৈরি। লবণ সোডিয়াম ও ক্লোরিনের সমন্বয়ে গঠিত। চিনি কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত। মরিচা লোহাকে কিছুদিন রেখে দিলে বাতাসের জলীয়বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে ফেরিক অক্সাইড তৈরি করে।যা মরিচা নামে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, লোহার ল্যাটিন নাম ফেরাম (Ferrum) থেকে লোহার বা আয়রনেরকে ফেরিক বলা হয়।আর আয়রন বা লোহার সংকেত Fe । মৌলিক পদার্থ হলেও মরিচা একটি যৌগিক পদার্থ। আসলে মৌলিক পদার্থগুলো সম্পর্কে জানতেন পারলে সহজেই যৌগিক পদার্থ চেনা যায়। মৌলিক পদার্থ ১১৮ টি। ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের মধ্যে ৯৮ টি আমরা প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পাবো। বাকী গুলো তৈরি করা হয়েছে। এই ১১৮ টি মৌলিক পদার্থ দিয়ে সকল যৌগিক পদার্থ তৈরি। সুতরাং বলা যায় সব যৌগিক পদার্থ মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরি।

 প্রতীক

 প্রতিটি মৌলিক পদার্থের আলাদা নাম আছে। মৌলিক পদার্থের নামকে সংক্ষেপে ইংরেজি অক্ষর বা ল্যাটিন বা আরবি নামের প্রথম এক বা দুটি অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়।এসব অক্ষর হলো মৌলিক পদার্থের প্রতীক।

 ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের আলাদা আলাদা প্রতীক আছে। যেমন হাইড্রোজেন এর প্রতীক H এবং অক্সিজেনের প্রতীক O , ক্যালশিয়ামের প্রতীক Ca ।

 সংকেত

 মৌলিক পদার্থগুলোকে প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা গেলেও যৌগিক পদার্থগুলো প্রকাশ করা হয় সংকেতের মাধ্যমে। অবশ্য মৌলিক পদার্থের অনুগুলোও সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সংকেতের মাধ্যমে কোনো যৌগিক পদার্থ কি কি মৌলিক পদার্থ দিয়ে গঠিত তা জানা যায়। এছাড়া যৌগিক পদার্থে মৌলিক পদার্থ গুলো কি অনুপাতে, কতটুকু পরিমাণে থাকে তাও জানা যায়। যেমন পানির সংকেত H2O । এই সংকেত দ্বারা বুঝায় পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত এবং পানিতে অক্সিজেনের দ্বিগুণ পরিমাণ হাইড্রোজেন থাকে। অর্থাৎ ৩০ কেজি পানিতে ১০ কেজি অক্সিজেন ও ২০ কেজি হাইড্রোজেন গ্যাস থাকে। পানি থেকে এ দুটি গ্যাস আলাদা করা যায় তড়িৎ বিশ্লেষণ  প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

 যোজনী

 কোন যৌগে মৌলিক পদার্থ গুলো কিভাবে যুক্ত থাকবে তা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। এ নিয়মকে যোজনী নিয়ম বলে। পানিতে দুটি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেন পরমাণু থাকে। এখানে একটি অক্সিজেন পরমাণুর সাথে দুটি করে হাইড্রোজেন যুক্ত হয়েছে। 

 

ধাতু জাতীয় পদার্থ

 এই মৌলিক পদার্থগুলোর মধ্যে কিছু পদার্থ চকচকে,শক্ত, বিদ্যুৎ পরিবাহী।এসব পদার্থকে ধাতু বলা হয়। অ্যালুমিনিয়ামের বিভিন্ন পাত্র, বিদ্যুতের তার, সোনা রুপার গহনা,তামার তার,লোহার যন্ত্রপাতি হয়ত তোমাদের চোখে পড়েছে।এসব পদার্থ ধাতু। 

অধাতু জাতীয় পদার্থ

 আবার কিছু মৌলিক পদার্থ তাপ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। এসব মৌলিক পদার্থ অধাতু।যেমন নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হিলিয়াম,হাইড্রোজেন গ্যাস

No comments

Powered by Blogger.