Saturday, May 11, 2024

বিশ্ব অর্থব্যবস্থা




বিশ্ব অর্থব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের হাতের মুঠোয়

প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার রিজার্ভ রাখে। এ রিজার্ভ ‍মুদ্রা দিয়ে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে। যে দেশের রিজার্ভ যত বেশি সেই দেশের আমদানি ক্ষমতা তত বেশি। আর যে দেশের আমদানি ক্ষমতা যত বেশি সেই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে তত  স্থিতিশীল ধরা হয়।

বড় বড় ব‌্যবসায়ীরা তাদের আর্থিক লেনদেন  দেশজ ব‌্যাংকগুলোর মাধ‌্যমে করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ‌্যের জন‌্য একটি দেশ আরেকটি দেশকে কিভাবে মূল‌্য পরিশোধ করবে তা একটি বড় সমস‌্যা। কারণ একেক দেশের মুদ্রা একেক ধরনের । কারও মুদ্রার নাম দিনার আবার কারও মুদ্রার নাম রুপি। এসব দেশের মুদ্রার দামেরও পার্থক‌্য আছে। একই পরিমাণ টাকা দিয়ে একেক দেশে বিভিন্ন রকম পন‌্য কেনা যায়। অর্থাৎ মুদ্রাগুলোর মানের তারতম‌্য আছে।

বিশ্বের এক দেশের সাথে আরেক দেশের আর্থিক লেনদেন সম্পাদনের জন‌্য যুক্তরাষ্ট্র সুইফট নামক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা  চালু করেছে । এই অর্থনৈতিক লেনদেন  ব‌্যবস্থায় বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ দেশ অংশ নেয়ায় এবং এর প্রতিদন্দ্বী আর কোন অর্থনৈতিক ব‌্যবস্থা না থাকায় এর মাধ‌্যমে যুক্তরাষ্ট‌্র সারা পৃথিবীর শত্রু দেশগুলেোকে অর্থনৈতিক অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মোড়লগিরি করে থাকে।

এ সুইফট ব্যবস্থায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ব‌্যাংকগুলোতে একাউন্ট খুলতে হবে। আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে  ব‌্যাংকগুলোর তথা কেন্দ্রীয় ব‌্যাংকগুলোর আর্থিক লেনদেন হবে এই একাউন্টগুলোর মাধ‌্যমে। অর্থাৎ এক দেশের সাথে আরেক দেশের লেনদেন হবে যুক্তরাষ্ট্রের ব‌্যাংকগুলোর মাধ‌্যমে। কিন্তু মূল ঘটনাটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের এক ব‌্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন হবে আর এ সময় যুক্তরাষ্ট বিনা পারিশ্রমে  একটি চার্জ কেটে নেবে এবং লাভবান হবে।


No comments:

Post a Comment