কোমল পানীয় ও অসহ্য গরম
গরম আসছে। দোকানে দোকানে ঠান্ডা পানীয়র সমাহার। হকাররা ব্যস্ত মাথায় ঠান্ডা পানীয় নিয়ে। গরমের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করে কোমল পানীয়। পেপসি,সেভেন- আপ, কোকাকোলা তো আছেই, এদের সাথে যুক্ত হয়েছে টাইগার, ব্লাক-হর্স, স্পিড আরও কত কি!!!
২০১৬ সালের দিকে। আমার মামা গ্রাম থেকে ময়মনসিংহ শহরে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। তার সমস্যা অনবরত হেঁচকি উঠছে। কিছুতেই হেঁচকি বন্ধ হচ্ছে না। ঘুম নাই, খাওয়া নাই শরীর শুকিয়ে কাঠ। দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, বসে পরে। মফস্বলের নামকরা হাতুড়ি ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। বলেছে আলসার হয়েছে। তেল জাতীয় সকল খাদ্য নিষেধ করে দিয়েছে। ভয়ে বেচারা, খাবারই বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তেল ছাড়া তো কোন তরকারী- ভর্তা খাওয়া যায় না।পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখেছিলাম । বলল, পেটে টিবি হয়েছে। সে অবশ্য চিকিৎসায় ভালো হয়েছিল।
এই মামাকে ডাক্তার দেখানোর সময়, ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছি। হঠাৎ আমাদের ডিপার্টমেন্টের সরোয়ার স্যারের
সাথে দেখা। সদা হাস্যোজ্জোল, নিরেট ভদ্র লোক। কুশল বিনিময় শেষে স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম, স্যার এখানে কেন? স্যার বলল, তার বড় ভাই গ্রামের সাধারণ, আড্ডাবাজ মানুষ। ভাইয়ের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক ছিল। এরপর বন্ধুদের সাথে প্রায়ই টাইগার খেত। কিছু দিন পর এই টাইগার খাওয়া, নেশা মত বাড়তে থাকে। তার স্বাস্থ্য বাড়ার কারণে, আরও খেতে থাকে। তারপর প্রায় প্রতিদিনই টাইগার খেত।
এখন, কী স্বাস্থ্য, কী হয়েছে!!! দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার পরীক্ষা করেছে।
লিভারের রোগ ধরা পড়েছে। সামান্য একটা বদ-অভ্যাস, কি ভয়াবহ হতে পারে এই বিষয়ে তিনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে জানালেন।
আসলে, ভুক্তভোগীরাই জানে, বদ-অভ্যাস কি ভয়ানক!!!
No comments:
Post a Comment