Saturday, June 5, 2021

হাইড্রোজেন (Hydrogen)

 হাইড্রোজেন (Hydrogen)

হাইড্রোজেন একটি গ্যাস। হাইড্রোজেনের প্রতীক H। মৌলিক গ্যাসের দুটি পরমাণু সবসময় একসাথে থাকে বলে হাইড্রোজেন গ্যাসের সংকেত H2 । এই গ্যাস অত্যন্ত দাহ্য অর্থাৎ আগুনে খুবই ভালোভাবে জ্বলে। আমরা গ্যাসের চুলায় রান্নার কাজে সাধারণত যে গ্যাস ব্যবহার করি সেই গ্যাসের নাম মিথেন গ্যাস।  রান্নায় মিথেন গ্যাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হলে কম পরিমাণ হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আর এদেশের খাল-বিল নদ-নদীতে রয়েছে পানির অফুরন্ত ভান্ডার। পানি যৌগটি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত।

পানিতে যদি বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয় তাহলে এর ঋনাত্মক প্রান্তে হাইড্রোজেন গ্যাস এসে জমা হয়। আর জমা হ‌ওয়া গ্যাসের পরিমাণ ধনাত্মক প্রান্তে জমা হ‌ওয়া অক্সিজেন গ্যাস এর দ্বিগুন। এজন্য পানির সংকেত H20

ভবিষ্যতে জ্বালানি রুপে মিথেন গ্যাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস জায়গা করে নিবে। কারণ মিথেন গ্যাসের পরিমাণ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। গাড়িতে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার শুরু হবে। হাইড্রোজেন গ্যাস মিথেনের চেয়ে বেশি কার্যকরী ও শক্তিশালী গ্যাস।

১৭৬৬ সালে হেনরী ক্যাভেন্ডিস হাইড্রোজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন। হাইড্রোজেন গ্যাস এর নামকরণ করেন এন্টিনো ল্যাভেসিয়ার।

সূর্যে ৫৫ ভাগ হাইড্রোজেন থাকে। এই হাইড্রোজেন আণবিক শক্তির দ্বারা হিলিয়ামে পরিণত হয় এবং সূর্যে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়।

What is Hydrogen ?

হাইড্রোজেন পর্যায় সারণীর প্রথম মৌল। কারণ এটির গঠন খুবই সাধারণ । এটিতে কেবল  একটি মাত্র প্রোটন থাকে। মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি আছে  এ হাইড্রোজেন মৌল।  মহাবিশ্বের ৭৫% এর বেশি উপাদান হাইড্রোজেন দিয়ে তৈরী। তোমার শরীরের প্রায় প্রত্যেকটি অনুতে হাইড্রোজেন আছে। হাইড্রোজেন একটি গ্যাস । এই গ্যাসটি খুবই দাহ্য, রংহীন, গন্ধহীন। হাইড্রোজেন গ্যাস খুবই হালকা এটি পানির চেয়ে ১৪ গুন হালকা। হাইড্রোজেনকে বলা হয় clean energy। হাইড্রোজেন দিয়ে যানবাহন চালানো যায়, স্টিল কারখানায় এমনকি বিমানের জ্বালানী হিসেবেও হাইড্রোজেনের ব্যবহার রয়েছে।

হাইড্রোজেন গ্যাস ১৬শ শতাব্দীতে প্রথম পরীক্ষাগারে প্রস্তুত করা হলেও, একে একটি স্বতন্ত্র মৌল হিসেবে চিহ্নিত করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেন্ডিশ ১৭৬৬ সালে এবং ১৮০০ সালে এর নামকরণ করেন ফরাসি রসায়নবিদ অ্যান্টোইন লাভয়সিয়ে ক্যাভেন্ডিশ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, ধাতু ও অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাসটি পোড়ালে জল তৈরি হয়, যা গ্রীক শব্দ 'হাইড্রোজেন' বা 'জল-প্রাক্তন' থেকে এসেছে। 
প্রথমিক পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতকরণ:
  • থি  ওফ্রাসটাস প্যারাসেলসাস (Paracelsus) (১৬শ শতাব্দী):
         সুইডিশ বিজ্ঞানী প্যারাসেলসাস প্রথম métal (যেমন লোহা) ও অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন একটি             গ্যাস পর্যবেক্ষণ করেন এবং এটিকে "দমকা হাওয়ার মতো বাতাস" বলে উল্লেখ করেন।      
  •      হেনরি ক্যাভেন্ডিশ (১৬শ-১৭শ শতাব্দী):
        ক্যাভেন্ডিশ এই গ্যাসকে স্বতন্ত্র পদার্থ হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এটি পোড়ালে জল তৈরি হওয়ার বিষয়টিও আবিষ্কার করেন। 
স্বীকৃতি ও নামকরণ: 

  • অ্যান্টোইন লাভয়সিয়ে (১৮শ শতাব্দী): ক্যাভেন্ডিশের আবিষ্কারের ভিত্তিতে, লাভয়সিয়ে এই গ্যাসটির নামকরণ করেন 'হাইড্রোজেন'। গ্রিক শব্দ 'হাইড্রোর' (জল) এবং 'গেনেস' (উৎপন্ন) থেকে এই নামটি এসেছে, যার অর্থ 'জল-প্রাক্তন' বা যা জল উৎপন্ন করে।

No comments:

Post a Comment