আলোর ঘটনা
আলো কিভাবে চলে
আলো চলে সোজা। সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার চলে।
আমরা কিভাবে দেখি
যখন কোন বস্তু থেকে আলো আমাদের চেখে প্রবেশ করে তখন ঐ বস্তুটি আমরা দেখতে পাই।
অন্ধকার রাতে আমরা আরো জ্বালিয়ে থাকি। যে বস্তু যত আলোকিত আমরা তত ভালোভাবে বস্তুটিকে দেখতে পাই। যে বস্তু যত আলোকিত সেই বস্তু থেকে ততবেশি আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে।আর তত ভালোভাবে আমরা বস্তুটিকে দেখতে পাই।
আলোর প্রতিফলন ও শোষণ
কোন বস্তুর দিকে আলো নিক্ষেপ করলে যদি আলো ফিরে আসে একে আলোর প্রতিফলন বলে।
আর ফিরে না আসলে আলোর শোষণ বলে।
মসৃণ ও চকচকে বস্তু থেকে আলোর সবচেয়ে বেশি প্রতিফলন ঘটে। চকচকে ভাব ও মসৃণতা কমতে থাকলে বস্তু থেকে আলোর প্রতিফলন এর মাত্রা কমতে থাকে।
মসৃণ তল হলো আয়না ও স্টিলের থালা।
দর্পণ বা আয়নায় আলোর প্রতিফলনের নিয়ম
আয়নায় যত বাঁকা করে আলো ফেলা যায় আয়না থেকে তত বাঁকাভাবে আলো ফেরত আসে ।আর আলো সোজা করে ফেললে আয়না থেকে সোজা ভাবে আলো ফেরত আসে। অর্থাৎ আয়নায় যে কোন আলো পতিত হয় সেই পরিমাণ কোণেই আলো প্রতিফলিত হয়। তাই আয়নায় আপতন কোন ও প্রতিফলন কোন সবসময় সমান হয়।
এই দুই কোনের মাঝ বরাবর একটি অভিলম্ব কল্পনা করা হয়।
কিছু আলোকীয় ঘটনা ও পেরিস্কোপ
চুল কাটার পর একটি বাড়তি আয়নায় সাহায্যে পেছনের দিকের চুল কাটা কেমন হলো তা দেখা যায়। এক্ষেত্রে পেছনের প্রতিফলিত আলোর গতিপথ একটু বাঁকা করে সামনে আয়নায় আবার প্রতিফলন ঘটিয়ে এ কাজটি করা হয়।
এই ধরনের কৌশল ব্যবহার করে পেরিস্কোপ তৈরি করা হয়।যার সাহায্যে ভিড় কাটিয়ে খেলা দেখা যায়। সৈন্যরা লুকিয়ে শত্রুর গতিপথের খোঁজ রাখে। পানির নিচের সাবমেরিন থেকে পানির উপরের দৃশ্য দেখা যায় এই পেরিস্কোপ এর মাধ্যমে।
পেরিস্কোপ তৈরির কৌশল
একটি জেড আকৃতির পাইপের দুটি কোণে আয়নার টুকরো ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাকা করে বসানো থাকে।
আলোর প্রতিসরণ
আলো যখন বায়ু থেকে পানিতে প্রবেশ করে তখন
তখন আলো চলার পথ একটু বেঁকে য়ায়। এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে। আলোর প্রতিসরণের কারণে একটি গ্লাসের পানিতে কোনো কাঠি রাখলে কাঠিটি সোজা হওয়া সত্ত্বেও বাঁকা দেখায়।
ম্যাগনিফাইং গ্লাস
এই গ্লাসের সাহায্যে কোন বস্তু দেখলে তা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে বড় দেখায়।
No comments:
Post a Comment