চলো পদার্থবিজ্ঞান শিখি
অধ্যায় -৩ : শক্তি
শক্তি
কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। আমরা সাইকেল চালাতে শারীরিক শক্তি ব্যবহার করি। কম্পিউটার চালাতে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করি।
বিভিন্ন প্রকার শক্তি
যান্ত্রিক শক্তি
শারীরিক শক্তি,বায়ু শক্তি, চলন্ত গাড়ির শক্তি এসব যান্ত্রিক শক্তি।
চৌম্বক শক্তি
তড়িৎ চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভারি পদার্থ উত্তলন করা হয়।তড়িৎ চুম্বক শক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বিদ্যুৎ ও চুম্বকের ঘটনা
চুম্বক যে সকল পদার্থকে আকর্ষণ করে তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলা হয়। লোহা, কোবাল্ড, ইস্পাত ইত্যাদি চৌম্বক পদার্থ। কপার, অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার ,পিতল অচুম্বক পদার্থ। বিদ্যুতের সাহায্যে পেরেককে চুম্বকে রুপান্তর পেরেককে তারে পেঁচিয়ে তারের দুই প্রান্ত একটি ব্যাটারীর (🔋) দুই প্রান্তে সংযোগ দিলে পেরেকটি চুম্বকের মত আচরণ করে।
পারমাণবিক শক্তি
পরমাণু্কে ভেঙ্গে তার অভ্যন্তরের বিশাল শক্তিকে কাজে লাগানো হয়।এই শক্তি পারমাণবিক শক্তি বলা হয়। পারমাণবিক শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক বোমা ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয়। বিদ্যুৎ শক্তি বিদ্যুত দিয়ে গাড়ি টেলিভিশন, কম্পিউটার,ফ্যান,এসি চালানো বিদ্যুৎ শক্তির উদাহরণ।
শব্দ শক্তি
শব্দকে কাজে লাগিয়ে অনেক কাজ করা যায়। শব্দ কম্পন শক্তি সৃষ্টি করে। কম্পনের ফলে শব্দের উৎপত্তি হয়। শব্দ শোনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। শব্দ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রেডিও, টেলিফোন ও মোবাইল আবিষ্কার করা হয়েছে। শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। শব্দ সবচেয়ে বেশি চলে কঠিন মাধ্যমে। তারপর তরল মাধ্যমে। সবচেয়ে ধীরে চলে বায়বীয় মাধ্যমে। বায়ুতে শব্দের বেগ ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড পানিতে শব্দের বেগ ১৪১৬ মিটার/সেকেন্ড কঠিন পদার্থে শব্দের বেগ ৬৪২০ মিটার/সেকেন্ড রাসায়নিক শক্তি বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে শক্তি লুকিয়ে থাকে।এ শক্তি রাসায়নিক শক্তি। খাবার, জ্বলানী তেল, গ্যাস ,কয়লা এদের মধ্যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে।
সৌর শক্তি
সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে সৌর প্যানেলের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এছাড়া আতশী কাঁচে ব্যবহৃত উত্তল লেন্সের সাহায্যে সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে আগুন ধরানো যায়। শক্তির উৎস সকল শক্তির উৎস সূর্য। বিদ্যুৎ শক্তির উৎস হতে পারে সৌর প্যানেল, জেনারেটর,ব্যাটারী। শক্তির রুপান্তর শক্তি এক রুপ হতে অন্য রুপে রুপান্তরিত হয়। যেমন বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে শব্দ শক্তি, তাপশক্তি,আলোক শক্তি উৎপাদন করা যায়। তাপ শক্তি তাপ এক প্রকার শক্তি।
তাপশক্তিতাপমাত্রা আগুন, হিটার, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি তাপশক্তি সৃষ্টি করে।
শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি
এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে পরিমাণ শক্তি ছিল আজও সেই পরিমাণ শক্তি আছে। শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না । শক্তিকে কেবল এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রুপান্তর করা যায়। এটাই শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি।
No comments:
Post a Comment